শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪
ঢাকা শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১
The Daily Post
তিন যুগেও হয়নি সংস্কার

গুরুদাসপুরে সেতুতে সংযোগ সড়ক না থাকায় জনদুর্ভোগ 

গুরুদাসপুর (নাটোর) প্রতিনিধি

গুরুদাসপুরে সেতুতে সংযোগ সড়ক না থাকায় জনদুর্ভোগ 

উপজেলার চাপিলা ইউনিয়নের চাকল বিলে তিন যুগ আগে একটি সেতু নির্মাণ করা হয়। ৩৮ বছর ধরে সেতুটি দাঁড়িয়ে থাকলেও নতুন করে সংযোগ সড়ক নির্মাণ হয়নি। ফলে কাজে আসেছে না সেতুটি। এ কারণে কয়েক গ্রামের মানুষের দুর্ভোগ বেড়েছে।

অন্যদিকে সেতুটি রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। নতুন করে সেতুটির দুই পাড়ের সংযোগ সড়ক নির্মাণ না করলে সেতুটি অকেজো হয়ে যাবে।
সরেজমিন ও এলাকা সূত্র জানা যায়, ১৯৮৫ সালে সেতুটি নির্মাণ করা হয়। কিন্তু সেতুটির দুই পাশে সংযোগ সড়ক ১৯৮৮ সালে বন্যায় ধসে যায়। 

পুনরায় নির্মিত না হওয়ায় পাঁচ গ্রামের প্রায় ৩০ হাজার মানুষ চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছে। এসব মানুষের প্রায় চার কিলোমিটার ঘুরে উপজেলা সদরে যাতায়াত করতে হচ্ছে। মোকিমপুর, তেলটুপি, রওশনপুর, নওপাড়া, ঝাউপাড়া ও সোনাবাজু গ্রামের মানুষ সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থার বাইরে ছিলেন। 

এসব গ্রামের মানুষকে সরাসরি সড়ক যোগাযোগের আওতায় আনতে বিলের মাঝে সেতু ও সড়ক নির্মাণ করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছিল। নানা কারণে সেতুকে ঘিরে নতুন করে সড়ক নির্মিত হয়নি। এ কারণে এখনো অনেকটা যোগাযোগ বঞ্চিত রয়েছে ওই গ্রামের মানুষগুলো। দ্রুত সেতুর দুই পাশের সংযোগসড়ক সংস্কারের দাবি জানিয়েছেন গ্রামবাসী।

সমাজসেবক আমিরুল ইসকাম ও ব্যবসায়ী জাকির হোসেন জানান, ১৯৮৫ সালে নির্মিত হয় ব্রিজসহ কাঁচা রাস্তাটি। ১৯৮৮ সালে বড় বন্যায় রাস্তাটি ডুবে ধসে যায়। তারপর থেকেই অকেজো হয়ে পরে আছে ব্রিজটি দুপাশের সংযোগ সড়কের অভাবে। ব্রিজটি যেভাবে রয়েছে তাতে জনসাধারণ হাঁটতে পারছে না। 

মাছের গাড়ি ও কৃষি ফসল বহনে ব্যাপক অসুবিধায় পড়েছে এলাকার কৃষকরা। সেই সাথে জরুরিভাবে হাসপাতালে রোগী বহনেও সমস্যা হচ্ছে। তাই আমাদের জোর দাবি এমপি সাহেবের কাছে, সংযোগ সড়কটি সংস্কার করে পাকা করে দিলে চাপিলার পাঁচ গ্রামের মানুষ উপকৃত হবে বলে জানান। 

চাপিলা ইউপি চেয়ারম্যান মো. মাহবুবুর রহমান বলেন, ১৯৮৮ সালে বন্যায় কাঁচা রাস্তাটি ধসে যাওয়ার পর থেকে রাস্তাটি সংস্কার হয়নি। সংস্কারে বড় বরাদ্দ দরকার। অতীতে আবেদন করা ছিল। এ বছর নতুন করে আবেদন করব বরাদ্দ পেলে রাস্তাটি সংস্কার করে পাকাকরণ করা হবে।

টিএইচ